মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ | Heart problems 7 Solution

প্রিয় পাঠক, মেয়েদের হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ, যা পুরুষদের থেকে আলাদা হতে পারে। চলুন দেখে নি কি কি সমস্যা বা লক্ষন যেগুলো জানতে পারলে আমরা হার্ট অ্যাটাক থেকে অনেক টাই বেচে থাকতে পারব ইনশা আল্লাহ। দয়া করে পোস্ট টি পুরো পড়বেন তাহলে হার্ট সম্পর্কে অনেক ভাল একটি ধারনা পাবেন।

সাধারণ লক্ষণ:

  • বুকে ব্যথা, চাপ, অস্বস্তি, ভার: এটি হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। বুকে ব্যথা হাত, বাহু, কাঁধ, ঘাড়, চিবুক বা পেটেও ছড়িয়ে যেতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বা দম বন্ধ লাগা অনুভব হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ঘাম: ঠান্ডা ঘাম হতে পারে, বিশেষ করে যদি বুকে ব্যথা থাকে।
  • বমি বমি ভাব: বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • মাথা ঘোরা: হালকা লাগা বা মাথা ঘোরা অনুভব হতে পারে।
  • অস্থিরতা: অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
  • অস্পষ্টতা বা উদ্বেগ: মনে হতে পারে কিছু ঠিক নেই, বা উদ্বেগের অনুভূতি হতে পারে।
  • ঘুমের সমস্যা: হার্ট অ্যাটাকের আগে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

মেয়েদের মধ্যে দেখা যেতে পারে এমন কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ:

  • চোয়াল, ঘাড় বা বাহুতে ব্যথা: পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের বুকের বাইরে ব্যথা অনুভব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • পিঠের ব্যথা: পিঠে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের একমাত্র লক্ষণ হতে পারে।
  • অস্বাভাবিক ক্লান্তি: অস্বাভাবিক ক্লান্তি হার্ট অ্যাটাকের একমাত্র লক্ষণ হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্ট হার্ট অ্যাটাকের একমাত্র লক্ষণ হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব: বমি বমি ভাব বা বমি হার্ট অ্যাটাকের একমাত্র লক্ষণ হতে পারে।

মনে রাখবেন:

  • এই লক্ষণগুলির মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি আপনি মনে করেন না যে এটি হার্ট অ্যাটাক।
  • হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে এমন কিছু ঝুঁকির কারণ রয়েছে, যেমন বয়স, পারিবারিক ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ধূমপান এবং স্থূলতা।
  • আপনার ঝুঁকির কারণগুলি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

মহিলাদের হার্টের ব্যথা কোথায় হয়?

মহিলাদের হার্টের ব্যথা কোথায় হয়?

মহিলাদের হার্টের ব্যথা বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে কিছু বিশেষ জায়গা চলুন দেখে নি সেই জায়গা গুলি ,

সবচেয়ে সাধারণ জায়গা:

  • বুকের কেন্দ্রে বা বাম দিকে: এটি হৃদপিণ্ডের অবস্থানের কারণে।
  • হাতের ভেতরের অংশে, বাহুতে, কাঁধে, ঘাড়ে, চিবুকে বা পেটের উপরের অংশে: এই ব্যথা হৃৎপিণ্ড থেকে বেরিয়ে আসা স্নায়ুগুলির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অন্যান্য সম্ভাব্য জায়গা:

  • গলা: মহিলারা প্রায়শই বুকে ব্যথা না বরং গলায় ব্যথা অনুভব করেন।
  • পিঠ: পিঠের ব্যথা হৃদরোগের একমাত্র লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে।
  • নিচের চোয়াল: চোয়ালের ব্যথা হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে।
  • পেট: পেটের ব্যথা, বিশেষ করে বমি বমি ভাব বা বমি সহ, হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে।

মনে রাখবেন:

  • বিশেষ করে মেয়েদের হৃদরোগের লক্ষণ পুরুষদের থেকে আলাদা হই।
  • বুকে ব্যথা ছাড়াও, মহিলারা হৃদরোগের অন্যান্য লক্ষণ অনুভব করতে পারে, যেমন শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, হালকা লাগা বা মাথা ঘোরা, অস্বাভাবিক ক্লান্তি, উদ্বেগ বা ঘুমের সমস্যা।
  • আপনি যদি হৃদরোগের যেকোনো লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি আপনি মনে করেন না যে এটি হৃদরোগ।

✌✌আরও পড়ুনঃ কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ব্যায়াম | 10 Way To Reduce Back Pain

হার্ট কি ? চলুন বিস্তারিত জেনে নি

হৃদপিণ্ড হল একটি পেশীবহুল অঙ্গ যা শরীরে রক্ত পাম্প করে। এটি বুকের কেন্দ্রে, স্তনের হাড়ের পিছনে অবস্থিত। হৃদপিণ্ড চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত:

  • দুটি উপরের প্রকোষ্ঠ (অ্যাট্রিয়া) রক্ত ​​শরীর থেকে হৃদপিণ্ডে সংগ্রহ করে।

  • দুটি নীচের প্রকোষ্ঠ (ভেন্ট্রিকল) শরীরের বাকি অংশে রক্ত ​​পাম্প করে।

হৃদপিণ্ড চারটি কপাট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা রক্ত ​​একটি দিক থেকে অন্য দিকে প্রবাহিত হতে দেয় এবং পিছনে প্রবাহিত হতে বাধা দেয়।

  • ট্রাইকাসপিড ভালভডান অ্যাট্রিয়ামকে ডান ভেন্ট্রিকেল থেকে আলাদা করে।
  • পালমোনারি ভালভডান ভেন্ট্রিকেলকে ফুসফুসের ধমনী থেকে আলাদা করে।
  • মাইট্রাল ভালভবাম অ্যাট্রিয়ামকে বাম ভেন্ট্রিকেল থেকে আলাদা করে।
  • আর্টিক ভালভবাম ভেন্ট্রিকেলকে মহাজাগরকে আলাদা করে।

হৃদপিণ্ড চারটি প্রধান রক্তনালী দ্বারা শরীরের সাথে সংযুক্ত থাকে:

  • উপরের ভেনা ক্যাভা ডান অ্যাট্রিয়ামে অক্সিজেন-হীন রক্ত ​​আনে।

  • নিম্ন ভেনা ক্যাভা ডান অ্যাট্রিয়ামে অক্সিজেন-হীন রক্ত ​​আনে।

  • ফুসফুসের ধমনীডান ভেন্ট্রিকেল থেকে ফুসফুসে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত ​​পাম্প করে।
  • মহাজাগরবাম ভেন্ট্রিকেল থেকে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত ​​শরীরের বাকি অংশে পাম্প করে।

হৃদপিণ্ডের কাজ হল শরীরের সমস্ত কোষে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত ​​পৌঁছে দেওয়া। এটি এটি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে করে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে:

  1. ডায়াস্টোল: এটি হৃৎপেশীর শিথিলকরণের সময় যখন রক্ত ​​অ্যাট্রিয়ায় প্রবেশ করে।
  2. সিস্টোল: এটি হৃৎপেশীর সংকোচনের সময় যখন রক্ত ​​ভেন্ট্রিকেল থেকে বেরিয়ে যায়।
  3. পালমোনারি সার্কুলেশন: ডান ভেন্ট্রিকেল থেকে অক্সিজেন-হীন রক্ত ​​ফুসফুসের ধমনী দিয়ে ফুসফুসে পাম্প করা হয়।
  4. সিস্টেমিক সার্কুলেশন: বাম ভেন্ট্রিকেল থেকে অক্সিজেন।

✌✌আরও পড়ুনঃ থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে Thalassemia Patient

অ্যাট্রিয়া কি?

হৃদপিণ্ডের দুটি উপরের প্রকোষ্ঠকে অ্যাট্রিয়া(একবচন: অ্যাট্রিয়াম) বলা হয়। অ্যাট্রিয়া শরীর থেকে অক্সিজেন-হীন রক্ত সংগ্রহ করে। ডান অ্যাট্রিয়াম শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে অক্সিজেন-হীন রক্ত পায় এবং বাম অ্যাট্রিয়াম ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পায়।

অ্যাট্রিয়ার দেয়াল পেশীবহুল নয় তবে শক্তিশালি সং сокра (songkoch) করতে পারে, যা রক্তকে ভেন্ট্রিকলে ঠেলে দেয়। অ্যাট্রিয়ামের প্রতিটি ক chambers (chambers) একটি পাতলা পেশীবহুল ঝিলlim (jhim) দ্বারা ভেন্ট্রিকেল থেকে আলাদা করা হয়। এই ঝিলlim (jhim) গুলিকে ভালভ বলা হয়।

  • ডান অ্যাট্রিয়াম ডান ভেন্ট্রিকেল থেকে ট্রাইকাসপিড ভালভদ্বারা আলাদা করা হয়।
  • বাম অ্যাট্রিয়াম বাম ভেন্ট্রিকেল থেকে মাইট্রাল ভালভদ্বারা আলাদা করা হয়।

অ্যাট্রিয়ার দেওয়ালে কান এর মতো কাঠামো (kathamo) আছে, যাকে ** auriculares appendages** (aurikular appendages) বলা হয়। এই কাঠামো (kathamo) গুলি রक्त (rakta) প্রবাহকে আরও সহজ করে এবং ভ্রূণের (bhrun) হৃৎপিণ্ড গঠনের সময় অবশিষ্ট থাকে।

ডায়াস্টোল (Diastole) কি?

ডায়াস্টোল (Diastole) হল হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলির শিথিলকরণ অবস্থা। এটি হৃদপিণ্ডের চক্রের দুটি প্রধান ধাপের মধ্যে একটি, অন্যটি হল সিস্টোল (Systole) যা হল সংকোচন অবস্থা।

ডায়াস্টোলের সময় কি ঘটে?

  • হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলি শিথিল হয়, ফলে হৃদপিণ্ডের চেম্বারগুলি (অ্যাট্রিয়া) বড় হয়ে যায়।
  • এই সময়কালে, অক্সিজেন-হীন রক্ত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে ডান অ্যাট্রিয়ামে এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুস থেকে বাম অ্যাট্রিয়ামে প্রবেশ করে।
  • রক্ত হৃদপিণ্ডের ভালভ (যেমন ট্রাইকাসপিড ভালভ এবং মাইট্রাল ভালভ) খোলা থাকে, যা রক্তকে অ্যাট্রিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়।

ডায়াস্টোলের গুরুত্ব:

  • ডায়াস্টোল হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলির জন্য বিশ্রাম নেওয়ার এবং পরবর্তী রক্ত পাম্প করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত হৃৎপিণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয় যাতে পরবর্তী সিস্টোলের সময় শরীরের চাহিদা মেটাতে पर्याप्त (poryapto) পরিমাণে রক্ত পাম্প করা যায়।

কখনও কখনও ডায়াস্টোলিক ডিসফাংশন (Diastolic Dysfunction) হতে পারে:

  • ডায়াস্টোলিক ডিসফাংশন হল হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলির শিথিল হওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার একটি অবস্থা।
  • এর ফলে হৃৎপিণ্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, যা শরীরের কোষে রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
  • উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং কোরোনারি ধমনী রোগের মতো বিভিন্ন কারণে ডায়াস্টোলিক ডিসফাংশন হতে পারে।

উপসংহার:

ডায়াস্টোল হৃৎপিণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যা পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ বজায় রাখতে এবং শরীরের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।

 

উচ্চ রক্তচাপ কি?

উচ্চ রক্তচাপ, যা হাইপারটেনশন নামেও পরিচিত, এমন একটি অবস্থা যেখানে ধমনীগুলিতে রক্ত প্রবাহের চাপ নিয়মিতভাবে উচ্চ থাকে।

স্বাভাবিক রক্তচাপ হল ১২০/৮০ মিমি মার্কারি (mmHg) এর নিচে।

উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় করা হয় যখন রক্তচাপ নিয়মিতভাবে ১৪০/৯০ mmHg বা তার বেশি থাকে।

উচ্চ রক্তচাপের কারণ:

  • জীবনধারা: অস্বাস্থ্যকর খাবার, অল্প ব্যায়াম, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান।
  • পারিবারিক ইতিহাস: যদি আপনার পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ থাকে তবে আপনার ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • চিকিৎসাগত অবস্থা: কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির সমস্যা এবং থাইরয়েড সমস্যা।
  • ওষুধ: কিছু ওষুধ উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ:

  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ থাকে না, তাই এটিকে “সাইলেন্ট কিলার” বলা হয়।
  • মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, হাত-পা ঠান্ডা লাগা এবং थकान হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা:

  • হৃদরোগ: হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিওর।
  • মস্তিষ্ক: স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া, স্মৃতিশক্তি হ্রাস।
  • কিডনি: কিডনি রোগ, কিডনি ফেইলিওর।
  • চোখ: দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, অন্ধত্ব।

উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা:

  • জীবনধারার পরিবর্তন: স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন কমানো, ধূমপান ত্যাগ করা এবং অ্যালকোহলের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করা।
  • ওষুধ: রক্তচাপ কমাতে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • চিকিৎসাগত অবস্থার চিকিৎসা: উচ্চ রক্তচাপের অন্তর্নিহিত কারণগুলির চিকিৎসা করা।

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ:

  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম লবণযুক্ত খাবার খান।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতার অ্যারোবিক ব্যায়াম করুন।
  • আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের হন তবে এমনকি একটি ছোট পরিমাণ ওজন কমানোও আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান আপনার রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুকি বাড়ায় ।

Reference,

3 thoughts on “মেয়েদের হার্টের সমস্যার লক্ষণ | Heart problems 7 Solution”

Leave a Reply