থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে Thalassemia Patient

✌✌থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আয়ুষ্কাল নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যার মধ্যে রয়েছে:
  • রোগের ধরণ: থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে, থ্যালাসেমিয়ার দুটি প্রধান ধরণ রয়েছে: আলফা-থ্যালাসেমিয়া এবং বিটা-থ্যালাসেমিয়া। বিটা-থ্যালাসেমিয়া সাধারণত আলফা-থ্যালাসেমিয়ার চেয়ে বেশি গুরুতর এবং জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে।
  • রোগের তীব্রতা: থ্যালাসেমিয়ার তীব্রতা হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। হালকা থ্যালাসেমিয়া রোগীরা কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়াই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, অন্যদিকে গুরুতর থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত ​​পরিবর্তন বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মতো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
  • চিকিৎসা: নিয়মিত রক্ত ​​পরিবর্তন, আয়রন চিলেটো থেরাপি এবং অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন সহ থ্যালাসেমিয়ার জন্য কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে। এই চিকিৎসাগুলি রোগীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে এবং তাদের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করতে পারে।
  • সাধারণ স্বাস্থ্য: থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন হৃদরোগ, যকৃতের সমস্যা এবং অস্থি সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই সমস্যাগুলি থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আয়ুষ্কালকে প্রভাবিত করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আয়ুষ্কাল উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত চিকিৎসার ফলে, অনেক থ্যালাসেমিয়া রোগী এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন এবং প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারেন।

কিছু গবেষণা অনুসারে, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের গড় আয়ুষ্কাল আজ 40-50 বছরেরও বেশি। তবে, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি কেবল একটি গড় এবং ব্যক্তিগত রোগীদের আয়ুষ্কাল তাদের রোগের ধরণ, তীব্রতা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কারণগুলির উপর নির্ভর করে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

আপনার যদি থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে একজন ডাক্তার বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও তথ্য সরবরাহ করতে এবং আপনার কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবেন।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য একটি সহায়ক সংস্থান বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি: https://www.thalassaemiabd.org/

 

থ্যালাসেমিয়া রোগীর খাবার তালিকা

থ্যালাসেমিয়া রোগীর খাবার তালিকা

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল:

ফল:

  • আপেল
  • কলা
  • নাশপাতি
  • আঙ্গুর
  • তরমুজ
  • পেঁপে
  • জাম্বুরা
  • কমলালেবু
  • আনারস

সবজি:

  • পালং শাক
  • শসা
  • লাউ
  • ব্রকলি
  • গাজর
  • মটরশুঁটি
  • বীট
  • টমেটো
  • ঢেঁড়স

শস্য:

  • ভাত
  • রুটি
  • ওটমিল
  • বাদামী চাল
  • কোর্নফ্লেকস
  • পাস্তা

মাংস:

  • মাছ
  • মুরগির মাংস
  • খাসির মাংস
  • গরুর মাংস (সীমিত পরিমাণে)

ডিম:

  • ডিম

দুগ্ধজাত খাবার:

  • দুধ
  • দই
  • পনির

অন্যান্য:

  • বাদাম
  • বীজ
  • জল

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের কিছু বিষয় খেতে হবে সাবধানে:

  • আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: লাল মাংস, লিভার, কিডনি, শুকনো ফল, শাকসবজি (পালং শাক, মটরশুঁটি), ডার্ক চকোলেট
  • ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: দুধ, দই, পনির, সবুজ শাকসবজি
  • ক্যাফেইন: কফি, চা, সোডা

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য কিছু খাবারের টিপস:

  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খান।
  • পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার খান।
  • লাল মাংস, লিভার, কিডনি, শুকনো ফল, শাকসবজি (পালং শাক, মটরশুঁটি), ডার্ক চকোলেট সীমিত পরিমাণে খান।
  • ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মধ্যে অন্তত দুই ঘন্টা ব্যবধান রাখুন।
  • প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • আপনার ডাক্তার বা একজন পুষ্টিবিদের সাথে কথা বলুন একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে।

মনে রাখবেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য কোনও একক খাদ্য তালিকা নেই। আপনার জন্য কোন খাবারগুলি ভালো তা নির্ধারণ করতে আপনার ডাক্তার বা একজন পুষ্টিবিদের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

✌✌আরও পড়ুনঃ মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়

থ্যালাসেমিয়া কি ব্লাড ক্যান্সার

না, থ্যালাসেমিয়া রক্তের ক্যান্সার নয়। এটি একটি বংশগত রক্তস্বল্পতা যা জন্মের সময় শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরির ত্রুটির কারণে হয়। হিমোগ্লোবিন হল লোহিত রক্তকণিকার একটি প্রোটিন যা রক্তে অক্সিজেন বহন করে। থ্যালাসেমিয়ায়, হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহন করতে বাধা দেয়, যার ফলে রক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি, ফ্যাকাসে চেহারা এবং বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সার, যাকে লিউকেমিয়াও বলা হয়, এটি একটি এমন রোগ যেখানে অস্বাভাবিক রক্ত ​​কোষগুলি অস্থিমজ্জায় দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং স্বাভাবিক রক্ত ​​কোষগুলিকে প্রতিস্থাপন করে। এটি সংক্রমণ, অস্বাভাবিক রক্তপাত এবং थकान সহ বিভিন্ন সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া এবং ব্লাড ক্যান্সারের মধ্যে কিছু পার্থক্য নীচে দেওয়া হল:

বৈশিষ্ট্যথ্যালাসেমিয়াব্লাড ক্যান্সার
কারণবংশগতঅজানা, তবে বিকিরণ, রাসায়নিক এবং ভাইরাসের সংস্পর্শের সাথে যুক্ত
লক্ষণরক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি, ফ্যাকাসে চেহারা, বৃদ্ধির সমস্যাসংক্রমণ, অস্বাভাবিক রক্তপাত, थकान, ফুলে যাওয়া লিম্ফ নোড, অস্থি ও যকৃতের ব্যথা
চিকিৎসারক্ত ​​পরিবর্তন, আয়রন চিলেটো থেরাপি, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনকেমোথেরাপি, বিকিরণ থেরাপি, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন

যদিও থ্যালাসেমিয়া রক্তের ক্যান্সার নয়, তবে এটি কিছু জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অতিরিক্ত লোহার পরিমাণ শরীরে জমা হতে পারে, যা যকৃতের ক্ষতি এবং লিউকেমিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা পরীক্ষা করা এবং তাদের ডাক্তারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে জটিলতাগুলির ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

✌✌আরও পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়

থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতা যা জন্মের সময় শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরির ত্রুটির কারণে হয়। হিমোগ্লোবিন হল লোহিত রক্তকণিকার একটি প্রোটিন যা রক্তে অক্সিজেন বহন করে। থ্যালাসেমিয়ায়, হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহন করতে বাধা দেয়, যার ফলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণগুলি হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে এবং রোগের ধরণ ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • রক্তস্বল্পতা: এটি থ্যালাসেমিয়ার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। রক্তস্বল্পতার ফলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, ফ্যাকাসে চেহারা এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
  • মুখমণ্ডলের বিকৃতি: থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের মুখের হাড়ের বিকৃতি হতে পারে, যার ফলে মুখের অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য দেখা দিতে পারে।
  • বৃদ্ধির সমস্যা: থ্যালাসেমিয়া রোগীরা বৃদ্ধিতে পিছিয়ে পড়তে পারে এবং তাদের তুলনামূলকভাবে ছোট হতে পারে।
  • প্লীহা ও যকৃতের বৃদ্ধি: অতিরিক্ত লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংসের ফলে প্লীহা ও যকৃতের বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • হাড়ের সমস্যা: থ্যালাসেমিয়া রোগীদের হাড়ের ঘনত্ব কম থাকতে পারে এবং তাদের হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেশি থাকে।

থ্যালাসেমিয়ার কোন নিরাময় নেই, তবে চিকিৎসা রোগের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • রক্ত ​​পরিবর্তন: গুরুতর থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত ​​পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
  • আয়রন চিলেটো থেরাপি: অতিরিক্ত লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংসের ফলে শরীরে অতিরিক্ত লোহ জমা হতে পারে। আয়রন চিলেটো থেরাপি এই অতিরিক্ত লোহ বের করে দিতে সাহায্য করে।
  • অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন: কিছু ক্ষেত্রে, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা করতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। যদি আপনি থ্যালাসেমিয়া বাহক হন তবে সন্তান ধারণের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। জিন থেরাপির মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করাও সম্ভব, তবে এটি এখনও গবেষণাধীন।

থ্যালাসেমিয়া রোগীকে বারবার রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয় কেন?

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের বারবার রক্ত ​​দেওয়ার প্রয়োজন হয় কারণ তাদের হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা থাকে। হিমোগ্লোবিন হল লোহিত রক্তকণিকার একটি প্রোটিন যা রক্তে অক্সিজেন বহন করে। থ্যালাসেমিয়ায়, হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহন করতে বাধা দেয়। এর ফলে রক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি, ফ্যাকাসে চেহারা এবং বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে।

থ্যালাসেমিয়ার দুটি প্রধান ধরণ রয়েছে:

  • থ্যালাসেমিয়া মেজর: এটি থ্যালাসেমিয়ার সবচেয়ে গুরুতর রূপ। থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীদের জন্মের পরপরই নিয়মিত রক্ত ​​পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়।
  • থ্যালাসেমিয়া মাইনর: এটি থ্যালাসেমিয়ার একটি হালকা রূপ। থ্যালাসেমিয়া মাইনর রোগীদের সাধারণত রক্ত ​​পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না, তবে তাদের রক্তস্বল্পতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের বারবার রক্ত ​​দেওয়ার প্রয়োজনের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন: থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের হিমোগ্লোবিন অস্বাভাবিকভাবে ছোট বা কম কার্যকর হয়। এর ফলে রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহন করা যায় না।
  • অতিরিক্ত লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস: থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের লোহিত রক্তকণিকা অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত ভেঙে যায়। এর ফলে অ্যানিমিয়া এবং অতিরিক্ত লোহ জমা হয়।
  • অস্থিমজ্জার সমস্যা: থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের অস্থিমজ্জায় সমস্যা থাকতে পারে, যা পর্যাপ্ত নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে বাধা দেয়।

রক্ত ​​পরিবর্তন থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য একটি জীবন বাঁচানোর চিকিৎসা। এটি তাদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে এবং তাদের লক্ষণগুলি উন্নত করতে সাহায্য করে। রক্ত ​​পরিবর্তন ছাড়া, থ্যালাসেমিয়া রোগীরা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য অন্যান্য চিকিৎসাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • আয়রন চিলেটো থেরাপি: এই চিকিৎসাটি অতিরিক্ত লোহ বের করে দিতে সাহায্য করে যা শরীরে জমা হতে পারে।
  • অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন: কিছু ক্ষেত্রে, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা করতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া একটি গুরুতর রোগ, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা স্বাভাব

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অ্যানিমিয়া হওয়ার কারণ কি?

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অ্যানিমিয়া হওয়ার প্রধান কারণ হল হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতা। হিমোগ্লোবিন হল লোহিত রক্তকণিকার (RBC) একটি প্রোটিন যা রক্তে অক্সিজেন বহন করে। থ্যালাসেমিয়ায়, জিনগত ত্রুটির কারণে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বা কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে RBC-তে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন থাকে না, যার ফলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়।

অ্যানিমিয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ক্লান্তি
  • দুর্বলতা
  • ফ্যাকাশে চেহারা
  • শ্বাসকষ্ট
  • মাথাব্যথা
  • চটপটে হৃদস্পন্দন
  • ঠান্ডা লাগা

থ্যালাসেমিয়ায় অ্যানিমিয়ার তীব্রতা রোগের ধরণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে।

থ্যালাসেমিয়ায় অ্যানিমিয়ার জন্য দায়ী কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া:

  • হিমোগ্লোবিন উৎপাদন হ্রাস: থ্যালাসেমিয়ার কিছু রূপে, জিনগত ত্রুটি হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন হ্রাস করে। এর ফলে RBC-তে পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় না।
  • অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন: থ্যালাসেমিয়ার অন্যান্য রূপে, জিনগত ত্রুটি হিমোগ্লোবিনের কাঠামোকে অস্বাভাবিক করে তোলে। এটি RBC-এর অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতাকে হ্রাস করে।
  • অতিরিক্ত RBC ধ্বংস: থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত RBC-গুলি অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। এর ফলে অ্যানিমিয়া এবং অতিরিক্ত লোহ জমা হয়।

চিকিৎসা:

থ্যালাসেমিয়ার জন্য কোন নিরাময় নেই, তবে চিকিৎসা রোগের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অ্যানিমিয়ার চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • রক্ত ​​পরিবর্তন: গুরুতর থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত ​​পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়।
  • আয়রন চিলেটো থেরাপি: অতিরিক্ত লোহ জমা হওয়া থেকে রোধ করতে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয়।
  • ফোলিক অ্যাসিড: এটি RBC-এর উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন: কিছু ক্ষেত্রে, এটি থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা করতে পারে।

প্রতিরোধ:

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ, তাই এটি প্রতিরোধ করা কঠিন। যদি আপনি থ্যালাসেমিয়া বাহক হন তবে সন্তান ধারণের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। জিন থেরাপির মা

থ্যালাসেমিয়া রোগীর হিমোগ্লোবিন কত থাকে?

থ্যালাসেমিয়া রোগীর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা রোগের ধরণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে।

থ্যালাসেমিয়ার বিভিন্ন ধরণ এবং তাদের সাধারণ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা:

  • থ্যালাসেমিয়া মেজর: এটি থ্যালাসেমিয়ার সবচেয়ে গুরুতর রূপ। থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগীদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণত 6 থেকে 10 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL) এর মধ্যে থাকে।
  • থ্যালাসেমিয়া মাইনর: এটি থ্যালাসেমিয়ার একটি হালকা রূপ। থ্যালাসেমিয়া মাইনর রোগীদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণত 9 থেকে 12 g/dL এর মধ্যে থাকে।
  • থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়া: এটি থ্যালাসেমিয়া মেজর এবং মাইনরের মধ্যবর্তী রূপ। থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়া রোগীদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণত 7 থেকে 12 g/dL এর মধ্যে থাকে।

মনে রাখবেন:

  • উপরে উল্লিখিত হিমোগ্লোবিনের মাত্রাগুলি কেবলমাত্র একটি গাইডলাইন।
  • একজন ব্যক্তির হিমোগ্লোবিনের মাত্রা তাদের বয়স, লিঙ্গ, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে তাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত ​​পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
  • আয়রন চিলেটো থেরাপি ব্যবহার করে অতিরিক্ত লোহ জমা হওয়া থেকে রোধ করা সম্ভব।
  • ফোলিক অ্যাসিড রক্ত ​​কোষের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
  • কিছু ক্ষেত্রে, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা করতে পারে।
  • থ্যালাসেমিয়ার কোন নিরাময় নেই, তবে চিকিৎসা রোগের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

The Wrapping Up

Thalassemia severity impacts life expectancy.

  • Without treatment: Life expectancy can be severely shortened, especially for Thalassemia Major.
  • With treatment: Advancements in medicine allow many Thalassemia patients to live into their 50s, 60s and beyond, provided they receive regular blood transfusions and iron chelation therapy.
  • Carriers: People with the Thalassemia trait have a normal life expectancy.

1 thought on “থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে Thalassemia Patient”

Leave a Reply