সমাজকর্মে পেশার ধারণা (Concept of Profession in social work)

✌✌Concept of Profession in social work

পেশা’ শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পেশার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Profession’ যা ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো ‘to make a public declaration,’ এ দৃষ্টিতে পেশাদার তারাই যারা নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত বলে দাবি করে এবং সমাজে বিশেষ অবস্থান লাভ করে।’

সাধারণত নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, দক্ষতা, নৈপুণ্য, তত্ত্বনির্ভর সুশৃঙ্খল জ্ঞান, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং ব্যবহারিক জ্ঞানভিত্তিক জীবিকা নির্বাহে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে পেশা বলা হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার অর্জিত জ্ঞানকে স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করে জীবিকা অর্জন করতে পারে। যেমন; ডাক্তারি, ওকালতি, শিক্ষকতা ইত্যাদি।

✔সমাজকর্ম অভিধান-এ বলা হয়েছে,পেশা হলো এমন একদল মানবগোষ্ঠী যারা নির্দিষ্ট সামাজিক চাহিদা ও প্রয়োজন পূরণে অভিন্ন সাধারণ মূল্যবোধ, ব্যবস্থা, দক্ষতা, কৌশল, জ্ঞান ও বিশ্বাসের অনুশীলন করে।” পেশার ধারণা দিতে গিয়ে এ ই বেন (A E Benn) বলেন, ‘পেশা হলো অন্যকে নির্দেশনা, পরিচালনা ও উপদেশ প্রদানের এমন এক জীবিকা যার জন্য বিশেষ জ্ঞানার্জন প্রয়োজন।’

আরও অন্যান্য সংজ্ঞা হল

✔পেশা সম্পর্কে সমাজকল্যাণ অভিধান (Social Welfare Dictionary)-এ বলা হয়েছে, ‘পেশা হলো বিশেষায়িত শিক্ষা, দক্ষতা ও কৌশলভিত্তিক একটি বৃত্তি যা সাধারণ মূলনীতি ও বিশেষ নৈতিক মানদণ্ড দ্বারা পরিচালিত।’ (Profession is an occupation of action based upon specialized education, skills and techniques governed by general principles of action and a special code of ethics.)

✔উইলবার্ড ই মোর (Wilbert E Moore)- এর মতে, ‘পেশা হলো একটি সার্বক্ষণিক কর্ম, সেবাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সহযোগীদের নিয়ে আলাদা পরিচিতি, বিশেষায়িত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ, সেবামুখিতা ও দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে স্বাতন্ত্র্যবোধ।

উপযুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পেশা হলো এমন এক ধরনের বৃত্তি বা জীবিকা নির্বাহের বিশেষ পন্থা, যেখানে নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে যথাযথ দক্ষতা, নৈপুণ্য ও কৌশলের মাধ্যমে তা বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হয়। পেশা সাধারণত জনকল্যাণমুখি হয়ে থাকে এবং এখানে সুনির্দিষ্ট মূল্যবোধ ও সামাজিক স্বীকৃতি বিদ্যমান। জীবিকা নির্বাহের কার্যাবলি বা বৃত্তিকে পরিপূর্ণ পেশার মর্যাদা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র বা সমাজের স্বীকৃতি আবশ্যক।

✌✌আরও পড়ুনঃ সমাজকর্মের গুরুত্ব (Importance of Social Work)

 

পেশা ও বৃত্তির সম্পর্ক কি  (Relationship between Profession and Occupation)

পেশা ও বৃত্তি শব্দ দু’টি একে অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। মূলত যেকোনো পেশার পেশাদারিত্বের বিষয়টি আধুনিককালে বিশেষভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে।

আধুনিক শিল্পবিপ্লবোত্তর সময়ে প্রতিটি পেশায় যুক্ত হয়েছে সংশ্লিস্ট বিষয়ের জ্ঞান, দক্ষতা, নৈপুণ্য, অভিজ্ঞতা, সামাজিক স্বীকৃতি প্রভৃতি উপাদানসমূহের। কিন্তু মানবসভ্যতার প্রাচীন ও মধ্যসময়ে পেশা ও বৃত্তি এ দু’য়ের মধ্যে ততটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হতো না। এসময়ে মূলত জীবিকা নির্বাহের জন্য যেকোনো কাজকেই পেশা হিসেবে মনে করা হতো। আধুনিক সময়ে এসেও আমাদের মতো দেশে এ শব্দ দু’টোর মধ্যে সার্বিক পৃথকীকরণ এখনো সর্বক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। যদিও প্রতিষ্ঠান নির্ভর জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে শব্দ দু’টির পার্থক্য সুস্পষ্ট তথাপি ব্যক্তিনির্ভর জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, প্রতিষ্ঠান নির্ভর জীবিকা যেমন- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকতা, ব্যাংকিং, নার্সিং প্রভৃতি ক্ষেত্রে পেশার সুস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান।

পক্ষান্তরে, ব্যক্তিনির্ভর জীবিকা যেমন- কৃষিকাজ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, শ্রমিকের শ্রমদান প্রভৃতি ক্ষেত্রে তা জীবিকা নির্বাহের অর্থনৈতিক উপায় হলেও পেশা হিসেবে বিবেচিত নয়। তাই শাব্দিক অর্থে এদের পার্থক্য থাকলেও জীবিকা নির্বাহের অর্থনৈতিক উপায় হিসেবে এদের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।

✌✌আরও পড়ুনঃ দরিদ্র আইনের ধারণা (Concept of Poor Law) | ইংল্যান্ডের আইন

পেশা ও বৃত্তির মধ্যে পার্থক্য (Defference between Profession and Occupation)

মানুষ তার জীবনধারণের জন্য যে সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে তাকে বৃত্তি বলা হয়। অনেকেই পেশা এবং বৃত্তিকে প্রায় একই অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে আদৌও তা এক নয়। বৃত্তি মূলত জীবনধারণের জন্য যেকোনো রকমের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বোঝায়; পক্ষান্তরে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্যাতা অর্জনই পেশার মূল দিক।” প্রতিটি পেশারই কতকগুলো বৈশিষ্ট্য ও মূল্যবোধ থাকে যা পেশাকে বৃত্তি থেকে পৃথক সভা দান করে।

নিচে পেশা ও বৃত্তির তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরা হলো-

প্রথমত, সাধারণত নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, দক্ষতা, নৈপুণ্য, তত্ত্বনির্ভর সুশৃঙ্খল জ্ঞান এবং মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবহারিক জ্ঞানের বাস্তব সমন্বয়ই হচ্ছে পেশা। যেমন- চিকিৎসক, উকিল, শিক্ষক ইত্যাদি। অন্যদিকে জীবন ধারণের জন্য যেকোনো রকম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বৃত্তি বলা হয়ে থাকে। যেমন- দিনমজুর, রিকশাচালক, কুলি ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত, প্রতিটি পেশার ক্ষেত্রে নিজস্ব সুসংগঠিত ও প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে। বৃত্তির জন্য কোনো বিশেষ জানার্জনের আবশ্যকতা নেই।

তৃতীয়ত, প্রত্যেক পেশাতেই পেশাদার ব্যক্তিকে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে পেশাগত কাজ সম্পর্কে বিশেষ নৈপুণ্য ও দক্ষতার অধিকারী হতে হয়। পক্ষান্তরে, বৃত্তির জন্য তাত্ত্বিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা ও নৈপুণ্য অর্জনের তেমন কোনো প্রয়োজন হয় না।

চর্তুর্থত, প্রতিটি পেশারই স্বতন্ত্র কতকগুলো মূল্যবোধ ও নৈতিক মানদণ্ড থাকে। যা পেশাদার কর্মীদের আচার-আচরণ, দায়িত্ব এবং কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। বৃত্তির ক্ষেত্রে তেমন কোনো মূল্যবোধ ও নৈতিক মানদণ্ডের প্রয়োজন হয় না।

পঞ্চমত, পেশার সামগ্রিক উন্নয়ন ও কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রত্যেকটি পেশারই পেশাগত প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। সেক্ষেত্রে বৃত্তির জন্য পেশাগত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক নয়।

সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য

ষষ্ঠত, প্রতিটি পেশার ক্ষেত্রে ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। পেশাদার ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান অনেকাংশে নির্ভরশীল। বৃত্তির ক্ষেত্রে তেমন কোনো দায়-দায়িত্ব থাকে না। এখানে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছামতো কাজ করতে পারে।

সপ্তমত, প্রতিটি পেশাই কতগুলো মূল্যবান নীতিমালা ও মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত। এ সকল মূল্যবোধ ব্যক্তিকে তার কর্ম সম্পাদনে দায়িত্বশীল করে তোলে। বৃত্তির ক্ষেত্রেও নৈতিক মানদণ্ড বা মূল্যবোধের উপস্থিতি বিদ্যমান। তবে তা পরিবর্তনশীল এবং ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল।

অষ্টমত, পেশার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা আবশ্যক। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, বৃত্তি যেহেতু ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে তাই এখানে জবাবদিহিতা বিশেষভাবে অনুপস্থিত।

পেশারই মূল উদ্দেশ্য

নবমত, প্রত্যেক পেশারই মূল উদ্দেশ্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণ সাধন করা। সেক্ষেত্রে বৃত্তি জনকল্যাণমূলক নাও হতে পারে।

দশমত, পেশার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জনগণ ও সমাজের স্বীকৃতি। সামাজিক স্বীকৃতি ব্যতীত কল্যাণকামী হওয়া সত্ত্বেও কোনো কোনো বৃত্তি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি নাও পেতে পারে। যেমন: লাইসেন্স বা সনদপত্রবিহীন ডাক্তারি, ওকালতি ইত্যাদি। পক্ষান্তরে, বৃত্তির জন্য সামাজিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীতা আবশ্যক নয়। অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক স্বীকৃতি ছাড়াও বৃত্তির অনুশীলন হয়ে থাকে। যেমন- ভিক্ষাবৃত্তি, পতিতাবৃত্তি, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি।

সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পেশা ও বৃত্তির মধ্যে পার্থক্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট। বৃত্তি হলো জীবন ধারণ ও নির্বাহের জন্য যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক কার্যাবলি। অন্যদিকে, সুসংহত তত্ত্বনির্ভর সুশৃঙ্খল জ্ঞান এবং মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সাথে জ্ঞান ও তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করেই পেশা গড়ে ওঠে।

 

সমাজকর্ম পেশার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Social Work Profession)

অন্যান্য পেশার ন্যায় আধুনিক বিশ্বে সমাজকর্মও একটি স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত। তবে সমাজকর্ম প্রত্যক্ষভাবে মানবকল্যাণমুখী পেশা হিসেবে আর দশটি পেশা হতে সম্পূর্ণ পৃথক। কেননা সমাজকর্মই একমাত্র পেশা যা সমাজস্থ ব্যক্তি, দল ও সমষ্টিকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত, দলীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক প্রভৃতি সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্যার্থীকে প্রত্যক্ষভাবে স্বাবলম্বী বা আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলে সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চালায়। অন্যান্য পেশার ন্যায় সমাজকর্ম পেশারও সুনির্দিষ্ট কতকগুলো বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান যা অন্য পেশা হতে সমাজকর্মকে স্বতন্ত্র পরিচয় দান করেছে।

সমাজকর্ম সমাজে সুবিধাবঞ্চিত ও সমস্যাগ্রস্ত জনগণের জন্য একটি বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন মানবিক পেশা হিসেবে স্বীকৃত। সমগ্র সমাজ তথা সমাজস্থ ব্যক্তি, দল ও সমষ্টি এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়। সমাজকর্ম ব্যক্তির সামাজিক ভূমিকা পালন ক্ষমতা ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন করে সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধনে ব্যাপৃত। সমাজকর্মের এই বহুমুখী ও ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি অন্যান্য পেশা থেকে একে পৃথক পরিচয় দান করেছে।

এ প্রেক্ষিতে আরমান্ডো মরেলস এবং বি ডব্লিউ শেফার

সমাজকর্ম পেশার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো ‘পেশাগত সম্পর্ক’ বা Rapport স্থাপন। বস্তুতপক্ষে সমাজকর্ম একটি ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন পেশা, যা মানবজীবনের প্রায় প্রতিটি দিক এবং উপাদান নিয়ে ব্যাপৃত।

সমাজকর্ম একটি সুনির্দিষ্ট মূল্যবোধ নির্দেশিত পেশা। প্রতিটি পেশার ন্যায় সমাজকর্মেরও কতকগুলো মূল্যবোধ রয়েছে, যা পেশাগত অনুশীলনে সমাজকর্মীগণ যথাযথভাবে মেনে চলেন। সমাজকর্মীদের জন্য সমাজকর্মের এ সকল মূল্যবোধ ও নৈতিক মানদণ্ডগুলো মেনে চলা অত্যাবশ্যক।

সমাজকর্মীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

সমাজকর্ম সমাজের উন্নতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই একটি জায়গায় সমাজকর্ম অন্যান্য পেশা থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। কেননা সমাজকর্মীরা সমাজের উন্নয়ন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। তাই সমাজকর্মীরা ‘সমাজের চিকিৎসক’ হিসেবে পরিচিত। পেশা হিসেবে সমাজকর্মীরা এমন একটি আদর্শ ধারণ করে যার মূল লক্ষ্যই থাকে একটি উন্নত জীবনমানের নিশ্চয়তা বিধানে ব্যক্তিকে সুযোগ এবং সম্পদের সাথে সমন্বয় করা।’

শেষকথা,

সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি বা সাহায্যার্থীর সুপ্ত ক্ষমতা বিকাশ

সমাজকর্ম সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি বা সাহায্যার্থীর সুপ্ত ক্ষমতার বিকাশ ঘটিয়ে তাকে যথাযথ সামাজিক ভূমিকা পালনে সাহায্য করে। এই সামাজিক ভূমিকা পালনের সক্ষমতাই হলো সমাজকর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। অন্যান্য পেশা যেখানে মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শারীরিক প্রয়োজন ও সমস্যার ওপর গুরুত্ব প্রদান করে সেখানে সমাজকর্ম মানুষের ঐ সকল দিকসহ মনো-সামাজিক সমস্যা সমাধান এবং সমাজে সুষ্ঠুভাবে সামঞ্জস্য বিধানে সহায়তা করে।

সমাজকর্ম পেশার আর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ‘পেশাগত সম্পর্ক’ বা ‘Rapport’ স্থাপন। অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে এই পেশাগত সম্পর্ক স্থাপনের তেমন প্রয়োজন নেই। কিন্তু সমাজকর্ম যেহেতু সমস্যা অনুসন্ধানের মাধ্যমে সাহায্যার্থীর প্রকৃত সমস্যা নিরসনের প্রয়াস চালায়, তাই এখানে পেশাগত সম্পর্ক স্থাপন অতীব জরুরি। 

2 thoughts on “সমাজকর্মে পেশার ধারণা (Concept of Profession in social work)”

Leave a Reply