Can you take a bath if you have chicken pox?
আজকে আমরা জানবো চিকেন পক্স হলে গোসল করা যাবে কিনা, এবং চিকেন পক্স থেকে রক্ষা পেতে আরো কি করা উচিৎ এইসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবো। তাই আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন, আপনারই উপকারে আসবে বলে আসা করি প্রিয় পাঠক বন্ধুরা।
চিকেন পক্স হলে গোসল করা যাবে, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
গোসলের সময়:
- হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন কারন বেশি গরম পানি চুলকানি বৃদ্ধি করতে পারে।
- সাবান ব্যবহার করা যাবে, তবে ক্ষারযুক্ত সাবান এড়িয়ে চলুন। ক্ষারযুক্ত সাবান ত্বক শুষ্ক করে তুলতে পারে।
- স্ক্রাব বা লুফা ব্যবহার করা যাবে না। এগুলি ফোস্কা ফেটে যেতে পারে।
- গোসলের পরে, তোয়ালে দিয়ে আপনার শরীর ধীরে ধীরে শুকিয়ে নিন। ঘষাঘষি করবেন না।
- গোসলের পরে, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও:
- ফোস্কাগুলো স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। স্পর্শ ফোস্কা ফেটে যেতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- নখ কেটে রাখুন যাতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ফোস্কা খোঁচানো এড়ানো যায়।
- চুলকানি বেশি হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনাকে ঔষধ দিতে পারেন।
মনে রাখবেন:
- চিকেন পক্স একটি সংক্রামক রোগ। আপনার ফোস্কা শুকিয়ে যাওয়া এবং খোসা ঝরে পড়া পর্যন্ত অন্যদের সাথে সংস্পর্শে এড়িয়ে চলুন।
- আপনার শিশু যদি চিকেন পক্স না হয়ে থাকে, তাহলে তাদের আপনার সাথে সংস্পর্শে এড়িয়ে চলুন।
আপনার চিকেন পক্স জলদি ভালো হওয়ার জন্য উপরের নিয়ম গুলি অবশ্যই মেনে চলতে হবে তাহলেই আপনার পক্স অনেক ভাল হবে আসা করি।
👍👍আরও পড়ুনঃ ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণ
চিকেন পক্স কতদিন থাকে
চিকেন পক্স সাধারণত ১০ থেকে ২১ দিন স্থায়ী হয়। এই সময়ের মধ্যে, নিম্নলিখিত পর্যায়গুলি দেখা দিতে পারে:
১. উষ্ণতা এবং অসুস্থতা: এটি প্রথম ৩ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হয় এবং জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, এবং পেশী ব্যথা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
২. ফোস্কা: ফোস্কা সাধারণত ১ থেকে ২ দিন ধরে উঠতে থাকে এবং সারা শরীরে বিতরণ করা হয়। ফোস্কা প্রথমে লাল হয়, তারপর স্বচ্ছ হয়ে ওঠে, এবং শেষ পর্যন্ত স্ক্যাব তৈরি করে।
৩. স্ক্যাবিং: স্ক্যাব সাধারণত ১ থেকে ২ সপ্তাহ ধরে থাকে এবং তারপর পড়ে যায়। স্ক্যাব পড়ে যাওয়ার পরে, ত্বক গোলাপী হতে পারে, কিন্তু কিছু সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক রঙে ফিরে আসবে।
চিকেন পক্স একটি সংক্রামক রোগ এবং অন্যদের থেকে আলাদা থাকা গুরুত্বপূর্ণ যতক্ষণ না ফোস্কা স্ক্যাব তৈরি করে। আপনার যদি চিকেন পক্স হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং তাদের দিকনির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
অতিরিক্ত কিছু তথ্য খেয়াল রাখবেনঃ
- চিকেন পক্স সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, কিন্তু বয়স্করা এটি পেতে পারে।
- চিকেন পক্সের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, কিন্তু লক্ষণগুলি চিকিৎসা করা যেতে পারে।
- একটি চিকেন পক্স ভ্যাকসিন উপলব্ধ যা এই রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
আপনার যদি চিকেন পক্স হয় বা এটি সম্পর্কে আরও জানতে চান তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।
চিকেন পক্স হলে কি খাওয়া উচিৎ
চিকেন পক্স হলে, আপনার শরীরকে সুস্থ করতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। এখানে কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:
১. তরল: পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে পানি এবং ঝোল। এটি আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করবে।
২. ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজি ভিটামিন এবং খনিজ এর ভালো উৎস যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলালেবু, স্ট্রবেরি, এবং ব্রকলি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. স্যুপ এবং ব্রথ: স্যুপ এবং ব্রথ হজম করা সহজ এবং আপনাকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে। তারা প্রোটিন এবং লবণের ও একটি ভালো উৎস হতে পারে।
৪. ওটমিল: ওটমিল একটি পুষ্টিকর নাশতা বা খাবার যা ফাইবার এবং লোহার একটি ভালো উৎস। এটি আপনাকে পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করবে এবং আপনার পাচনতন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করবে।
৫. দই: দই প্রোবায়োটিকের একটি ভালো উৎস যা আপনার আন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ও একটি ভালো উৎস।
৬. চিকেন বা মাছ: চিকেন বা মাছ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস যা আপনার শরীরকে মেরামত এবং পুনর্গঠন করতে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
👍👍আরও পড়ুনঃ জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
চিকেন পক্স একবার হলে কি আবার কি হয়
না, চিকেন পক্স সাধারণত একবার হলে আবার হয় না। কারণ, চিকেন পক্স হলে শরীরে ভ্যারিসেলা-জোস্টার ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরকে ভাইরাস থেকে দীর্ঘমেয়াদী রক্ষা প্রদান করে।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম, একজন ব্যক্তি দ্বিতীয়বার চিকেন পক্স হতে পারে। এটি সাধারণত নিম্নলিখিত কারণগুলির কারণে ঘটে:
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের দ্বিতীয়বার চিকেন পক্স হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এতে ক্যান্সার, এইডস, এবং অন্যান্য রোগ যারা ওষুধ সেবন করেন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে তাদের ও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- পুনরায় সংক্রমণ: খুব বিরল ক্ষেত্রে, একজন ব্যক্তি একই স্ট্রেন বা ভিন্ন স্ট্রেন থেকে দ্বিতীয়বার চিকেন পক্স পেতে পারে ভ্যারিসেলা-জোস্টার ভাইরাস।
দ্বিতীয়বার চিকেন পক্স সাধারণত প্রথম বারের চেয়ে কম গুরুতর হয়। লক্ষণগুলি হালকা হতে পারে এবং দ্রুত চলে যেতে পারে।
আপনি যদি চিন্তিত হন যে আপনি দ্বিতীয়বার চিকেন পক্স হতে পারেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। তারা আপনাকে আপনার ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা করতে সাহায্য করতে পারবেন।
পক্স হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
হ্যাঁ, চিকেন পক্স হলে ডিম খাওয়া যেতে পারে। আসলে, চিকেন পক্সের সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনার শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দ্রুত সুস্থ হতে পারে। ডিম প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের একটি ভালো উৎস যা আপনার সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন।
চিকেন পক্সের সময় ডিম খাওয়ার কিছু সুবিধা এখানে দেওয়া হল:
- প্রোটিন: ডিম প্রোটিনের একটি ভালো উৎস যা আপনার শরীরকে মেরামত এবং পুনর্গঠন করতে সাহায্য করবে। চিকেন পক্সের সময় আপনার শরীরকে অতিরিক্ত প্রোটিনের প্রয়োজন হয় কারণ এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
- ভিটামিন: ডিম ভিটামিন এ, ডি, ই, এবং বি সমষ্টির একটি ভালো উৎস। এই ভিটামিনগুলি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
- খনিজ: ডিম লোহা, জিঙ্ক, এবং সেলেনিয়ামের একটি ভালো উৎস। এই খনিজগুলি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
তবে, চিকেন পক্সের সময় ডিম খাওয়ার কিছু বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
- সাবধানে রান্না করুন: ডিম সাবধানে রান্না করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে সেগুলি সম্পূর্ণভাবে সিদ্ধ হয়। কাঁচা বা অপরিপক্ক ডিম সালমোনেলা জাতীয় ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত হতে পারে।
- অ্যালার্জি: আপনার যদি ডিমের অ্যালার্জি থাকে, তাহলে আপনার চিকেন পক্সের সময় সেগুলি খাওয়া উচিত নয়। যেমন হাসের ডিমে এলার্জি থাকতে পারে তাই হাসের ডিম না খাওয়াই ভাল।
চিকেন পক্স এর ঔষুধ
চিকেন পক্স একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা জ্বর, ফোস্কা এবং চুলকানি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই রোগের কোন নির্দিষ্ট নিরাময় নেই, কিন্তু লক্ষণগুলি চিকিৎসা করা যেতে পারে।
চিকেন পক্সের কিছু সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
- জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ: অ্যাসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেন জ্বর এবং ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুদের অ্যাসপিরিন দেওয়া উচিত নয় কারণ এটি রেই’স সিনড্রোমের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
- চুলকানি কমানোর জন্য লোশন: ক্যalamine লোশন বা অ্যান্টিহিস্টামিন চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ফোস্কা রক্ষা করার জন্য ব্যান্ডেজ: ফোস্কা খোঁটা থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- প্রচুর পরিমাণে তরল পান: হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।
- বিশ্রাম: আপনার শরীরকে সুস্থ হতে সাহায্য করার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
কিছু ক্ষেত্রে, আপনার ডাক্তার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ লিখে দিতে পারেন। এই ওষুধগুলি সংক্রমণের দৈর্ঘ্য কমাতে এবং জটিলতাগুলির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এগুলি সবসময় প্রয়োজন হয় না এবং সব বয়সের জন্য উপযুক্ত নয়।
চিকেন পক্সের কিছু জটিলতা হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- নিউমোনিয়া: ফুসফুসের সংক্রমণ
- এনসেফালাইটিস: মস্তিষ্কের প্রদাহ
- ব্লাড ডিসঅর্ডার
- মৃত্যু
আপনার যদি চিকেন পক্স হয় এবং আপনার নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকে, তাহলে তৎক্ষণই চিকিৎসা সহায়তা নিন:
- উচ্চ জ্বর
- শ্বাসকষ্ট
- বুকে ব্যথা
- মাথাব্যথা
- ঘাড় জড়তা
- ভ্রান্তি
- আচরণে পরিবর্তন
- ফোস্কা পড়া
এই লক্ষন গুলি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন।
বাচ্চাদের চিকেন পক্স হলে করণীয়
চিকেন পক্স, যা জলবসন্ত নামেও পরিচিত, একটি সংক্রামক ভাইরাল রোগ যা শিশুদের মধ্যে সাধারণ। এটি জ্বর, ফোস্কা এবং চুলকানি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। যদিও চিকেন পক্সের কোন নির্দিষ্ট নিরাময় নেই , লক্ষণগুলি চিকিৎসা করা যেতে পারে এবং আপনার সন্তানকে আরাম দিতে আপনি কিছু কাজ করতে পারেন।
এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
- আপনার সন্তানকে বিশ্রাম নিতে এবং প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে উৎসাহিত করুন।
- জ্বর এবং ব্যথা কমাতে অ্যাসিটামিনোফেন বা আইবুপ্রোফেন দিন। শিশুদের অ্যাসপিরিন দেওয়া উচিত নয়।
- চুলকানি কমাতে ক্যalamine লোশন বা অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করুন।
- ফোস্কা খোঁটা থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।
- আপনার সন্তানকে অন্যান্য লোকেদের থেকে আলাদা রাখুন যতক্ষণ না ফোস্কা শুকিয়ে যায় এবং খোসা পড়ে যায়।
কিছু ক্ষেত্রে, আপনার ডাক্তার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ লিখে দিতে পারেন। এই ওষুধগুলি সংক্রমণের দৈর্ঘ্য কমাতে এবং জটিলতাগুলির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এগুলি সবসময় প্রয়োজন হয় না এবং সব বয়সের জন্য উপযুক্ত নয়।
চিকেন পক্সের কিছু জটিলতা হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- নিউমোনিয়া: ফুসফুসের সংক্রমণ
- এনসেফালাইটিস: মস্তিষ্কের প্রদাহ
- ব্লাড ডিসঅর্ডার
- মৃত্যু
আপনার যদি আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোন চিন্তা থাকে, তাহলে তৎক্ষণই একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
শেষকথা,
আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম কিভাবে কোন পদ্ধতি ফলো করলে চিকেন পক্স থেকে রক্ষা পাবো আমরা।
Related Posts:
Sumon is a health specialist and sociologist dedicated to improving community well-being. With expertise in public health and social dynamics, HE has led numerous health initiatives and conducted impactful research. Passionate about fostering healthier communities through informed, compassionate care, Sumon combines knowledge and empathy to create holistic solutions.
1 thought on “চিকেন পক্স হলে কি গোসল করা যাবে ”