আকিকার গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন ও আকিকার ফজিলত সমূহ নিম্নে আলোচিত হবে। সাত দিনের দিন আকিকা করতে হবে ১৪ দিনে আকিকা হবে না । আর ২১ দিনে আকিকা হবে না – প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করবো আকিকার নিয়ম। অনেকেই জানতে চেয়েছেন , আকিকার গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্ট আকিকার নিয়ম সম্পর্কে।
আরবি শব্দটি আরবি ভাষায় ( عقيقة ) আকিকা হচ্ছে নবজাতক শিশুর জন্ম উপলক্ষে গরু , ভেরা , ছাগল , দুম্বা প্রাণীকে কুরবানী করে তার উদ্দেশ্য করে তা গরিব দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করা । এটি মুসলমানের বহু বছর ধরে পালিত একটি অনুষ্ঠান যা মুসলমানরা এই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান এর আয়োজন করে থাকে এবং এরই সাথে ওই শিশু সন্তানের কল্যাণ কামনা করে আল্লাহর রাস্তায় দুম্বা ছাগল এগুলো আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী দিয়ে থাকে।
আকিকার গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন । আকিকার ফজিলত সমূহ গুলো জেনে নিন
আকিকার গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন এবং আকিকার ফজিলত সমূহ জেনে নিন নিচ থেকে।
আকিকার পশু জবাইয়ের সময় :
সন্তান জন্মের সময় করণীয়
দোয়ার মাধ্যমে মানুষের তাকদীর পরিবর্তন করা হয়।পেটে বাচ্চা এসেছে দুই জনই কান্নাকাটি করেন। আল্লাহর কাছে একটা সুসন্তান চাইতে থাকেন,চাইতে থাকেন তো দেখা যাক কি হয়। তারপর সন্তান প্রসবের সময় আসলে আল্লাহকে বলবেন নিরাপদ অবস্থায় সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করে দাও।
বাচ্চা প্রসব হলে আযান দিবেন। একজন মানুষের কাছে নিয়ে গিয়ে তাহনিক করে নিয়ে আসবেন ।যার কাছে নিয়ে যাবেন উনি একটু বরকতের দোয়া করে দিবেন যার জন্য আপনারা যারা মুরুব্বী তাদেরকে দোয়া মুখস্থ করে রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি | স্ত্রী সুখ পাবেই এবার
বাচ্চার মাথায় হাত দিয়ে বলতে হবে আয়োজকুম লা বিকালিমাতিল্লাহি তা মা মিন কুল্লি সাইতন নহা মা অয়ামিন কুল্লি আইনিন অলামা , এই দোয়া ইব্রাহীম আঃ মাথার উপরে হাত দিয়ে পড়তেন । শয়তান জ্বীন এর বদ নজর থেকে পরিত্রান চাওয়া হয়েছে। আল্লাহ আমার বাচ্চার অপর যেনো বদ নজর না লাগে ।
আকিকা করার উপকারিতা
ইসলামে আকিকা করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। জীবনের প্রারম্ভে নবজাতকের নামে রক্ত প্রবাহিত করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। এটা ইসলামী ভ্যাকসিন। এর মাধ্যমে আল্লাহর হুকুমে অনেক পেরেশানি, বিপদ-মুসিবত ও অসুস্থতা থেকে মুক্তি মিলে। দুনিয়াবী ভ্যাকসিনের সাথে আমাদের আখেরাতের ভ্যাকসিনের প্রতিও গুরুত্বারোপ করা উচিত।
নবজাতকের জন্ম আল্লাহর বড় একটি নেয়ামত। আকিকার মাধ্যমে এই নেয়ামতের বহির্প্রকাশ হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘সম্পদ ও সন্তানসন্তুতি জীবনের শোভা।’ (সূরা কাহাফ, আয়াত : ৪৬)
আপনার সন্তানের আকিকা করার মাধ্যমে কিয়ামতের দিন পিতা সন্তানের সুপারিশের উপযুক্ত হবে। এ ছাড়াও আকিকার মাধ্যমে দানশীলতার বিকাশ ঘটে। গরিব মিসকিন ও আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় হয়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সম্পর্ক বাড়ে। পরষ্পরে হৃদ্যতা ও আন্তরিকতাপূর্ণ ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
সন্তানের বদ নজর কি?
ছেলে বড় হলে করণীয়
উপসংহারঃ- আকিকার গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন । ও আকিকার ফজিলত সমূহ গুলো
প্রিয় পাঠক – আকিকার গুরুত্ব ও নিয়ম-কানুন আজকে আমরা এই পোস্টে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি আগেকার নিয়ম ও গুরুত্ব সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ জানতে পেরেছেন ।
আমাদের আজকের এই আকিকার নিয়ম নিয়ে আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট মধ্যে জানিয়ে দিবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে এবং নিয়মিত আমাদের সাইটটিকে ফলো করে রাখার অনুরোধ রইলো ততদিন পর্যন্ত সুস্থ থাকুন। ভালো থাকবেন 😘আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি শীঘ্রই আবার দেখা হবে।
Sumon is a health specialist and sociologist dedicated to improving community well-being. With expertise in public health and social dynamics, HE has led numerous health initiatives and conducted impactful research. Passionate about fostering healthier communities through informed, compassionate care, Sumon combines knowledge and empathy to create holistic solutions.