আমাদের মধ্যে অনেকেই মাথা ব্যাথা বা যন্ত্রনায় ভুগে থাকি। অনেকেই প্রশ্ন করে, প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়, মাথা যন্ত্রনা কমানোর উপায়, মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম ইত্যাদি সম্পর্কে। আজকে আমরা উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনা করব।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মাথা ব্যথা হলে কি করতে হয়, মাথা যন্ত্রণা কমানোর উপায়, মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঔষধ ইত্যাদি সম্পর্কে।
প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়
আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্ম এবং অন্যান্য কারনে অনেক সময় মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। এটি প্রথমে হালকা ভাবে শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তীব্রতর হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা তীব্র হয়ে গেলে তা আমাদের জন্য কষ্ট ও অস্বস্তির কারন হয়ে থাকে। মাথা যন্ত্রনা বা মাথা ব্যথা হয়নি এমন লোক খুব কমই আছে। তীব্র মাথা ব্যথা আমাদের যন্ত্রনার কারন হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা-
- প্রাথমিক মাথা ব্যথা (Primary Headache)
- সেকেন্ডারি মাথা ব্যথা (Secondary Headache)
আরো পড়ুনঃ যেভাবে অ্যালকাইল হ্যালাইড থেকে অ্যালকেন প্রস্তুত করতে হয়
আমাদের প্রতিদিনের সাধারন কাজকর্ম যেমন- ঘুম কম হওয়া, ঠিকমত খাবার না খাওয়া, কম পানি পান করা, বিভিন্ন মানসিক চাপ ইত্যাদি কারনে আমাদের মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে। যদি আমাদের প্রাথমিক মাথা যন্ত্রনা হয়ে থাকে তবে আমাদের নিম্নের নিয়মগুলো মেনে চললে হালকা মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা
- রাতে ঠিক সময়ে ঘুমানো। আর রাতে ঘুমানোর সঠিক সময় হলো রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত।
- মাথার আশেপাশে বা যেখানে খুব বেশি মাথা যন্ত্রনা করছে সেখানে ঠান্ডা কিছু চেপে রাখা।
- অনেক সময় চা আমাদের মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
- বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা তেল মাথায় দিলে মাথা ব্যথা কমে যায়।
এবার জেনে নেওয়া যাক সেকেন্ডারি মাথা ব্যথা নিয়ে। সেকেন্ডারি মাথা যন্ত্রনার কারনগুলো হলো মস্তিষ্কে টিউমার, মাথায় পাওয়া আঘাত, মাসোটয়ডায়টিস, সায়নোসাইটিস ইত্যাদি। এই ধরনের মাথা ব্যথা হলে আমাদের বসে না থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা উচিত। এখন চলুন বিভিন্ন ধরনের সেকেন্ডারি মাথা ব্যথার কারন, উপসর্গ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেই।
- দুশ্চিন্তার কারনে সৃষ্ট মাথা ব্যথাঃ আমাদের তীব্র মাথা ব্যথার প্রধান কারন হলো দুশ্চিন্তা করা। বিভিন্ন ধরনের কাজের চাপ, সঠিক বিশ্রাম না নেওয়া, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেকক্ষন ভাবা বা চিন্তা করা ইত্যাদি কারনে আমাদের তীব্র মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথার রেশ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থেকে যায়। অনেক সময় ঘুম থেকে ওঠার পর ও এই মাথা ব্যথা থেকে যায়। যদি দুশ্চিন্তার কারনে মাথা ব্যথা আমাদের দীর্ঘ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
- মাইগ্রেন এর ব্যথাঃ মাইগ্রেন এর কারনে সৃষ্ট আমাদের মাথায় যে ব্যথা হয়, তা অন্যান্য কারনগুলোর থেকেও তীব্র হয়। মাইগ্রেন এর ব্যথায় আমাদের মাথায় চিনচিন করতে থাকে। এটি আস্তে শুরু হয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। সূর্যের আলো ও কায়িক পরিশ্রমের কারনে এই ধরনের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। মাইগ্রেন এর ব্যথা কয়েকঘন্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত থাকে। খাদ্য পরিপাকে সমস্যা, মস্তিষ্কে সঠিক রক্ত সঞ্চালন না হওয়া মাইগ্রেন সমস্যার প্রধান কারন। এছাড়া এই সমস্যা পারিবারিক বা জেনেটিক এর কারনেও হয়ে থাকে। যদি পরিবারের কারো মাইগ্রেন এর সমস্যা থেকে থাকে, তবে অন্যান্যদেরও এইটা হবার সম্ভাবনা থাকে। মাইগ্রেন এর ব্যথা দূর করতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- সাইনাস এর কারনে সৃষ্ট ব্যথাঃ কপালের হাড় ও নাকের দুই পাশের হাড় এর মাঝখানে ফাকা ফাকা অনেক জায়গা থাকে। যাকে সাইনাস বলা হয়। এই ফাকা জায়গা গুলোতে যখন সর্দি ও বাতাস দ্বারা পূর্ণ থাকে, তখন আমাদের সাইনাস এর ব্যথা শুরু হতে থাকে। সাইনাস এর ব্যথা কমাতে বিভিন্ন ধরনের পেইন কিলার সেবন করা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
- সাইকোজেনিক পেইনঃ কোনো কারন ছাড়াই আমাদের মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা হয়। যাকে সাইকোজেনিক পেইন বলা হয়। আমরা যখন অতিরিক্ত চা-কফি খাই এবং হঠাৎ করেই তা পান করা থেকে বিরত থাকি তখন আমাদের সাইকোলোজিক্যালি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। এই ধরনের মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে আমাদের সঠিক বিশ্রাম নেওয়া ও সঠিক ঘুমের দরকার।
- হরমোনের কারনে সৃষ্ট মাথা ব্যথাঃ দেহে হরমোনের প্রবাহে তারতম্য দেখা দিলে মাথা ব্যথা হতে পারে। মেয়েদের মাসিকের সময় ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যায় । তখন মাথা যন্ত্রনার শুরু হতে পারে।
উক্ত কারনে আমাদের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। কখনো আমাদের ঘরোয়া উপায়ে আমরা এই মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি। আবার কখনো এই মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ডাক্তারের শরনাপন্ন হই। তবে যেভাবেই হোক না কেন আমাদের মাথা ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী করা উচিত নয়।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আমরা একটু আগে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয় সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা মাথা যন্ত্রনা কমানোর জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানবো। মাথা যন্ত্রনা আমাদের বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে।
দিনের বেশিরভাগ সময় যদি আমরা রোদে থাকি বা ঘুম অথবা অন্য বিভিন্ন কারনে আমাদের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আমরা বিভিন্ন পেইন কিলার বা ওষুধ খাই। কিন্তু ওষুধ না খেয়েও আমরা ঘরোয়া উপায়ে আমাদের মাথা যন্ত্রনা কমাতে পারি। কিছু নিয়ম মেনে চললে আমরা ঘরোয়া উপায়ে মাথা যন্ত্রনা কমাতে পারি। নিয়মগুলো নিম্নরূপঃ
- মাথা যন্ত্রনা হলে আমরা কয়েক টুকরা বরফ কাপড়ে বা তোয়ালেতে জড়িয়ে যন্ত্রনা স্থানে সেক দিতে হবে। ১৫-২০ মিনিট বরফের সেক দিলে আমরা মাথা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
- সাইনাসের কারনে মাথা যন্ত্রনা হলে আমরা আমাদের কপাল ও ঘাড়ে গরম কিছুর সেক দিতে পারি। কারন গরম সেক আমাদের সাইনাস এর ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
- মহিলারা অনেক সময় শক্ত করে চুল বেধে রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শক্ত করে চুল বেঁধে রাখার কারণে মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। তাই বেশিরভাগ সময় চুল আলগা করে রাখা উচিত।
- দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, স্মার্টফোন অথবা আলোর কারনে আমাদের মাথার যন্ত্রনা হয়ে থাকে। তাই আমাদের Blue-lens কার্ট যুক্ত চশমা পরা উচিত, যখন আমরা তীব্র আলোর মধ্যে কাজ করবো।
- চা কফিতে থাকা ক্যাফেইন আমাদের মাথা যন্ত্রনা কমাতে সাহায্য করে। তাই আমরা মাথা যন্ত্রনা কমাতে চা অথবা কফি খেতে পারি। আবার অন্যথায় আদা- লবংগ বা মধু মিশিয়ে খেলেও মাথা যন্ত্রনা কমে যায়।
- আমাদের মাথা যন্ত্রনার আরেকটি কারন হলো ডিহাইড্রেশন। পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করলে আমরা এই মাথা যন্ত্রনা দূর করতে পারি।
- অনেক সময় খাবারে আমাদের ম্যাগনেসিয়াম এর দরকার পড়ে। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা পাত্তা দেই না।ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন করে থাকে। খাবারে এই উপাদান ঘাটতির কারনে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাবারে এই ধরনের উপাদান সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত।
- পুদিনা পাতার রস মাথা যন্ত্রনা কমানোর আরেকটি ঘরোয়া মাধ্যম। পুদিনা পাতায় ম্যান্থল নামের উপাদান থাকে। যা মাথা ব্যথা কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।
উক্ত ঘরোয়া উপায়গুলো আমরা মাথা ব্যথা কমানোর জন্য মেনে চলতে পারি।
মাথার তালুতে ব্যথা কারণ
বেশিরভাগ সময় আমাদের ঘাড় থেকে শুরু করে মাথার পিছনের দিক পর্যন্ত ব্যাথা হতে থাকে। একে সার্বিকোজেনিক মাথাব্যথা বলে। এই ধরনের মাথাব্যথা বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে হয়ে থাকে।যত সময় বাড়ে এই মাথাব্যথা তত বৃদ্ধি পায়। গবেষকরা বলেন, মাথার তালুতে ব্যথা করা এটি মাইগ্রেনের ব্যথাও হতে পারে।
মাথার তালুতে ব্যথা করলে বমি বমি ভাব, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, মাথার মধ্যে কামড়ানো ভাব ইত্যাদি হতে পারে। অনেকেই জানতে চান মাথার তালুতে বা প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়। এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় মাথাব্যথা শুরু হলে আপনি যে ঘরে অবস্থান করবেন তা পুরোপুরি অন্ধকার করে নেওয়া। ঘাড় ও কপালে গরম অথবা ঠাণ্ডা সেক দেওয়া।
এছাড়া মাথার তালুতে ব্যথা হওয়ার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগকেও গণ্য করা হয়। মাথার ভেতরে যদি রক্তপাত হয় তাহলে আমাদের মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত বা মাথার তালুতে প্রচন্ড ব্যথা করে। এই কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে।
মাথার পেছনে ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয় তা জানার আগে চলুন জেনে নেই মাথার পেছনে ব্যাথার কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে। মাথার পিছনে বা ঘাড়ে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্ম এবং কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলার অভাবে আমাদের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
আবার কিছু নিয়ম মেনে চললে এই মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এখন আমরা মাথার পেছনে ব্যথা হওয়ার কারণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জানব। প্রথমে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাথার পেছনে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে। কারণগুলি হলোঃ
- মানসিক চাপঃ আমরা অনেক সময় কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করি। যা পরবর্তীতে আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। এই মাথা ব্যথা আমাদের আধা ঘন্টা থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আমাদের অলস ভাব, ঘুম কম, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া ইত্যাদি কারণে এই মাথাব্যথা হতে পারে।
- মাইগ্রেনঃ মাইগ্রেনের কারণে আমাদের মধ্যে বাম দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ব্যথা মাথার মাঝখানে অবস্থান করে এবং শেষ হয় মাথার পিছনে।
- বাত-ব্যাথাঃ আমাদের মাথার পিছনে অর্থাৎ ঘাড়ের অংশে বাতের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে যদি আমরা অতিরিক্ত নড়াচড়া করি তাহলে এই ব্যথা বেড়ে যায়। যার ফলে আমাদের শরীরে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
- অতিরিক্ত রক্তচাপঃ বিভিন্ন ধরনের পানীয় যেমন-মদ, সিগারেট ইত্যাদি খেলে আমাদের শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। অনেক সময় মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তচাপের কারণে রক্তক্ষরণও হয়ে থাকে। যা মাথা ব্যথার আর একটু উপসর্গ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আমাদের মাথার পিছনে ব্যথা হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন-ঘাড় ব্যথা করে, মাথার যেকোনো একদিকে ব্যথা করে, আলো বা বেশি শব্দ যুক্ত জায়গায় থাকলে ব্যথা করে, দৃষ্টিশক্তির কারণে ব্যথা করে, আমরা নড়াচড়া করলে ব্যথা করে, বমি বমি ভাব হয় এবং অনেক সময় বমি হয়। এ বিষয়গুলোকে মাথাব্যথার লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এই সময় আমরা প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয় সে সম্পর্কে জানা থাকলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতাম। এখন আমরা মাথার পিছনে ব্যথার চিকিৎসা সম্পর্কে জানবঃ
- আমরা আমাদের মাথা ব্যাথা কমাতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি ওষুধ ব্যবহার করতে পারি।
- বিভিন্ন ধরনের থেরাপি যেমন-হিট থেরাপি বা কোল্ড থেরাপির ব্যবহার করতে পারি।
- এপিডুরাল নামক ইঞ্জেকশন ব্যবহার করতে পারি।
- মাথাব্যথা খুব বেশি হলে অস্ত্র প্রচার করতে পারি।
- বিভিন্ন ধরনের পেইন কিলার ব্যবহার করতে পারি।
- ডাক্তারের পরামর্শকৃত প্রেসক্রিপশন এ থাকা ঔষধ ব্যবহার করতে পারি।
- কিছু মাসাজ আছে যা শরীরকে এসব ব্যাথা থেকে মুক্তি দেয়। সে সব মাসাজ করতে পারি।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চললে আমরা আমাদের মাথার পেছনে হওয়া ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম নিচে তুলে ধরা হলো।
- এনিলিক ২০০ এম.জি (anilic 200 mg) – Drug Int. Ltd. – Price: 8 tk
- অরিন ২০০ এম.জি (Arin 200 mg) – Opsonin Ph. Ltd – Price: 10 tk
- মিগারেক্স ২০০ এম.জি (migrex 200 mg) – Incepta Ph. Ltd – Price: 10 tk
- টলমিক ২০০ এম.জি (tolmic 200 mg) – Beximco Ph. Ltd – Price: 8 tk
- লজরিন ২০০ এম.জি (lograin 200 mg) – Ibn Sina Ph. Ltd – Price: 10 tk
- মিনোপা ২০০ এম.জি (minopa 200 mg) – Medicon Ph. Ltd – Price: 7.40 tk
- টলফি ২০০ এম.জি (tolfi 200 mg) – Benham Ph. Ltd. – Price: 9.60 tk
- মিগাট্রল ২০০ এম.জি (migatrol 200 mg) – Beacon Ph. Ltd. – Price: 10 tk
- মাইগান ২০০ এম.জি (mygan 200 mg) – Chemist Lab. Ltd – Price: 10 tk
- টাফনিল ২০০ এম.জি (Tufnil 200 mg) – Eskayef Bd. Ltd – Price: 10 tk
গ্যাস থেকে মাথা ব্যথা কমানোর উপায়
গ্যাস থেকেও আমাদের অনেক সময় মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। গ্যাস থেকে মাথা ব্যথা দূর করার জন্য নিম্নোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত। নিয়মগুলো হলোঃ
- মেন্থল চা এ থাকা জিআই ট্র্যাক্ট আমাদের গ্যাস নিরাময় করে থাকে। এছাড়া এটি আমাদের গ্যাস সংক্রান্ত মাথা ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে।
- আদা চায়ে প্রদাহ বিরোধী হিসেবে কাজ করে। যা মাথাব্যাথার উপসর্গ গুলো কমিয়ে দেয়।
- উষ্ণ থেরাপী আমাদের গ্যাস থেকে সৃষ্ট মাথা ব্যথা কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।
- যোগ-ব্যায়াম আমাদের পেটের সমস্ত গ্যাস বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে মাথা ব্যথাও কম হয়।
- প্রচুর পরিমানে পানি পান করলে আমাদের গ্যাস হয়না। যার ফলে আমাদের মাথা ব্যথাও হয় না।
- আমাদের মানসিক চাপ কমাতে হবে। মানসিক চাপ আমাদের স্ট্রেস গ্যাস বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ কমালে আমরা মাথা ব্যথাও অনেকটা কমাতে পারি।
লেখকের মন্তব্য
আজকে আমরা প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়, তা থেকে মুক্তির উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম। আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেয়েছেন। আমরা এইরকম আরো মূল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট আপনাদের জন্য শেয়ার করে থাকি। আমাদের পোস্ট পড়তে পেজ ফলোও করুন।
Related Posts:
মানসিক চাপ কমানোর পাঁচটি কার্যকরী উপায়
Low Cholesterol Diet | 7 Days Low Cholesterol Diet Plan for Beginners
Well health tips in hindi wellhealthorganic | 10 Ayurvedic Health Tips
দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারণ কি? দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার উপায়?
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে | ১০ টি খাবার আপনার ডেঙ্গু জ্বর কমাবে
মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না
থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে Thalassemia Patient
ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা | ১০ টি উপকার জেনে নিন
Sumon is a health specialist and sociologist dedicated to improving community well-being. With expertise in public health and social dynamics, HE has led numerous health initiatives and conducted impactful research. Passionate about fostering healthier communities through informed, compassionate care, Sumon combines knowledge and empathy to create holistic solutions.